Sunday, April 15, 2012

শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত ডিসিসি নির্বাচন কার্যক্রম বন্ধে হাই কোর্টের নির্দেশ


dustu_meye201102171297933475_high_court.jpg (500×855)শুনানি না হওয়া পর্যন্ত ডিসিসি নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

রোববার ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) উত্তর ও দক্ষিণের নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে একটি রিট করা হয়েছে।

বিচারক এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বযে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে আংশিক শুনানির শেষে ওই নির্দেশ দেন। এসময় নির্বাচন কমিশনের
(ইসি) আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন।

আংশিক শুনানির পরে সোমবার আবারো বিষয়টির ওপর শুনানি হবে। শুনানি শেষে রিটকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
 
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রইটস এ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান সিদ্দিক এ রিটটি করেন।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ড.শাহদিন মালিক ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যার্টনি জেনারেল এমকে রহমান।

তখন আবেদনকারী পক্ষে এক আবেদন জানিয়ে বলা হয়, ডিসিসি নির্বাচন কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে এ রিটটি করা হয়েছে। শুনানি না হওয়া পর্যন্ত বিষয়টি সাবজুডিস উল্লেখ করে নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ রাখতে আদালতের নির্দেশনার আবেদন জানায় রিট দায়েরকারী  পক্ষ। এ সময় আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত এটর্টনি জেনারেল এমকে রহমানকে এক আদেশে রিটের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ রাখতে ইসিকে অবহিত করতে বলেন।
 
রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব ও ঢাকা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সাত জনকে প্রতিপক্ষ করা হয়েছে।

অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, সংশ্লিষ্ট বিধি-বিধান অনুসরণ না করেই ডিসিসি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।
 
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ এর ২৭(১) ধারায় বলা হয়েছে, সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা কাউন্সিলর নির্বাচনের উদ্দেশ্য কর্পোরেশনকে নির্ধারিত সংখ্যক ওয়ার্ডে বিভক্ত করিবার সুপারিশ করিবেন। ২৭(২) ধারায় বলা হয়েছে, সরকার সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, জনসংখ্যার সর্বশেষ পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে, প্রতিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ডের সংখ্যা নির্ধারণ করিবে। কিন্তু সরকার এ আইন কার্যকর করেনি।  

 
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ এর ২৮ ধারায় বলা হয়েছে, সরকার সীমানা নির্ধারণের উদ্দেশ্যে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিগণের মধ্য থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা এবং তাকে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক সহকারী সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা নিয়োগ করিবে।


অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ  বলেন, আইন অনুযায়ী নতুন সিটি করপোরেশনের কয়টি ওয়ার্ড হবে তা নির্ধারণ করতে হবে এবং এসব ওয়ার্ডের সীমানাও নির্ধারণ করতে হবে। এ সীমানা নির্ধারণের জন্য কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে গেজেট প্রকাশ করতে হবে। তা না করেই ডিসিসি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।


তিনি বলেন, আইনের এসব ধারা কার্যকর না করে নির্বাচন করা যাবে না। আর এ গুলো সিটি করপোরেশন পালন করেনি। তাই আইন অনুযায়ী নির্বাচন করার সুযোগ নেই।

জনস্বার্থে এ নিবার্চনে বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি দায়ের করা হয়েছে।

No comments:

Post a Comment