কুষ্টিয়ার
কুমারখালীর পান্টিতে আওয়ামীলীগের সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনীর হাতে শিবির কর্মী
আব্দুল্লহ আল মঞ্জুর নিহত হওয়ার প্রতিবাদে আজ ১৪ এপ্রিল শনিবার অর্ধ দিবস হরতাল
ডেকেছে ইসলামী ছাত্র শিবির। শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরতলী মোল্লা তেঘরিয়ায় কুষ্টিয়া
জেলা
জামায়াতে ইসলামীর অডিটোরিয়ামে এক সাংবাদিক সম্মেলনে শিবির নেতৃবৃন্দ হরতালের
কর্মসুচী ঘোষনা করেন। এ ছাড়া প্রতিবাদে বিকেলে ইসলামী ছাত্র শিবির চৌড়হাসে বিক্ষোভ
মিছিল ও সমাবেশ করেছে। এদিকে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ জামাত-শিবিরের ১০ নেতা
কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সালামত, মোহাম্মদ আলী, ইউনুস আলী, হামিদুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, শওকত আব্বাস, রফিকুল ইসলাম ও আসলাম।কুইজ প্রতিযোগীতাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে ফজরের নামাজের পর ইউসুফ আলী নামের একজন জামাত কর্মী পান্টি বাজারে যাওয়ার পথে কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্রশাসক জাহিদ হোসেন জাফর সমর্থিত আওয়ামীলীগ নেতা রুহুল আমীন ও আব্দুল লতিফের নেতৃত্বে ২০/২৫জন আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী অতর্কিত হামলা চালিয়ে বেদম প্রহর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এরাই আবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শিবির কর্মী পান্টি কারিগড় পাড়ার আব্দুর রশিদের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মঞ্জুর ভাইয়ের বাড়ীতে যেয়ে পুনরায় অতর্কি হামলা চালায়। এ সময় আব্দুল্লাহ আল মঞ্জুকে এলোপাতাড়ীভাবে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয় হলে পথে মধ্যে সে মারা যায়।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে পান্টিতে আওয়ামীলীগের জাফর গ্র“পের সাথে বিএনপির হাফিজুর রহমান হাফিজ চেয়ারম্যান গ্র“পের বিরোধ চলে আসছিল। পরবর্তীতে এই বিরোধ জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায় গত১৩ ও১৪ জানুয়ারী’১২ জামাত-শিবিরের উদ্যোগে এলাকার আন-নুর ট্রাষ্টে তাফসির মাহফিলের আয়োজন করলে আওয়ামীলীগ নেতাদের বাধার মুখে তা বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় আওয়ামীলীগের নেতারা জামাত-শিবিরের ৩০জনকে আসামী করে পরপর দু’টি মামলা করে। এতেও আওয়ামীলীগের নেতারা সন্তুষ্টি হতে না পেরে অবশেষে শুক্রবার সকালে কুইজ প্রতিযোগীতাকে ইস্যু বানিয়ে পান্টির আব্দুর রশিদের কলেজ পড়–য়া ছেলে শিবির কর্মী আব্দুল্লাহ আল মঞ্জুকে কুপিয়ে হত্যা করে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা।
No comments:
Post a Comment