Sunday, April 15, 2012

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এপিএস’র বিরুদ্ধে পাবনায় সংবাদ সম্মেলন


Pabna.jpg (300×250)এবার পাবনায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর এপিএস আনিসুজ্জামান দোলনের বিরুদ্ধে নানা অপর্কম ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ করেছেন একজন সরকারী প্রভাবশালী আইনজীবী (এপিপি)।

পাবনা আদালতের এপিপি কাজী আলম রোববার পাবনা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে দোলনের বিভিন্ন অপকর্মের চিত্র তুলে ধরেন। এপিএস আনিসুজ্জামান দোলনকে সন্ত্রাসের গডফাদার উল্লেখ করে
সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী আলম লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘‘পাবনার কুখ্যাত পেথিডিন ব্যবসায়ী কফিল মোল্লার একটি বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে আমার বাড়ি ভাড়া না দেয়ায় সে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ মার্চ মাদক ব্যবসায়ী কফিল মোল্লা ও তার সহযোগীরা প্রথমে আমার ছোট ভাই কাজী সজলের উপর হামলা করে। কিছুক্ষণ পর আবারো সংঘবদ্ধভাবে ৫০/৬০ জনের একটি  সন্ত্রাসী দল তার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় ওই আইনজীবীর ছেলে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানালে তাৎক্ষণিকভাবে থানা থেকে এসআই আব্দুল হালিম ও এ এস আই শহিদুল্লাহর নেতৃত্বে দুই ভ্যান পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। উপস্থিত সন্ত্রাসীরা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর এপিএস  আনিসুজ্জামান দোলনের ক্যাডার বাহিনী হওয়ায় পুলিশ নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করে এবং তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সহায়তা করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা আমার প্রাইভেট কার, বাড়ির টিভি, ফ্রিজসহ মূল্যবান আসবাবপত্র ভাংচুর করে লুটপাট করে নিয়ে যায়।

অ্যাডভোকেট কাজী আলম আরো বলেন, ‘‘এ ঘটনায় পাবনা সদর থানায় এজাহার দায়ের করলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এপিএস দোলনের নির্দেশে থানা পুলিশ মামলাটি গ্রহণ করেনি। পরদিন পাবনা জেলা অ্যাডভোকেট বার সমিতির সভাপতি আজিজুল হক ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ খন্দকার পাবনার পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুববরের সাথে কথা বলার পর মামলাটি গ্রহণ করা হয়।

এদিকে ঘটনার দিনই আমাদের নামে দ্রুতবিচার আইনে একটি মিথ্যা মামলা করা হয়। এছাড়াও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এপিএসের নির্দেশে পুলিশ তড়িঘড়ি করে এতো বড় ধরনের একটি লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনায় মাত্র তিজনের নামে তদন্ত ছাড়াই চার্জশিট প্রদান করেন। এদিকে এই ঘটনার পরে চলতি মাসের ৯ তারিখে রাতে আবারো ওই সন্ত্রাসীরা আমার বাড়িতে ককটেল বোমা নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশকে জানালে এসআই রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত জব্দ করলেও দোলনের নির্দেশে পুলিশ মামলাটি গ্রহণ করেনি।’’

উলে­খ্য স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এপিএস দোলন শুধু পুলিশের উপর প্রভাব খাটানোর কারণেই এই আইনজীবী ও তার পরিবার সুষ্ঠু বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলেও সম্মেলনে দাবি করা হয়।

এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এপিএস আনিসুজ্জামান দোলনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত উদ্দিন জানান, এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এপিএস দোলন আমাদের কোনো প্রকার চাপ প্রয়োগ করেনি। পুলিশ তদন্ত শেষে নিরপেক্ষভাবে যেটা পাবে, সেই মোতাবেক কাজ চলবে।

No comments:

Post a Comment