ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রফেসর ড. আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার
অভিযোগের মামলার শুনানিতে ১২ জন বিশিষ্ট আইনজীবীকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের
বন্ধু) নিয়োগ দিয়েছে হাই কোর্ট।
বিষয়টি শুনানির জন্য ২৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে বিষয়টির ওপর শুনানিতে আদালতকে সহায়তা
করতে তাদের অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ
দেয়া হয়।বিষয়টি শুনানির জন্য ২৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে বিষয়টির ওপর শুনানিতে আদালতকে সহায়তা
আইনজীবীরা হলেন- ১. অ্যাডভোকেট মাহমুদুল ইসলাম, ২. ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ৩. হাসান আরিফ, ৪. ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ৫. এম আমিরুল ইসলাম, ৬. মঈনুল ইসলাম, ৭. ড. এম জহির, ৮. রফিকুল ইসলাম মিয়া, ৯. কামালুল আলম, ১০. ফিদা এম কামাল, ১১. আব্দুল মতিন খসরু ও ১২.আক্তার ইমাম।
আসিফ নজরুলের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ড. কামাল হোসেন। কিন্তু তিনি শুনানিতে উপস্থিত না থাকায় তার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ।
শুনানিতে ড. আসিফ নজরুল আদালতে উপস্থিত হলে এজলাসে তাকে দাঁড় করিয়ে রাখলে তার আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ আদালতের কাছে তার বসার অনুমতি প্রার্থনা করেন।
আদালত এ সময় তাকে বসার অনুমতি না দিয়ে বলেন, “আইনের চোখে সবাই সমান।”
গত ১৫ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রফেসর ড. আসিফ নজরুলকে তলব করে ২২ মার্চ আদালতে হাজির হয়ে তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
ওইদিন তার বিরুদ্ধে রুল জারি করে এবং একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস ও তৃতীয় শক্তির উত্থানে উস্কানি দেয়া এবং জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অভিযোগে কেন তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়।
এ বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও আসিফ নুজরুলকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ১৫ মার্চ ব্যারিস্টার মো. নওশের আলী রিটটি করেন।
No comments:
Post a Comment