প্রতিদিন ২৪ ডেস্ক
চট্টগ্রামে চোর দম্পতিসহ সংঘবদ্ধ চোর চক্রের ছয়
সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। তারা বিভিন্ন বাসায় কাজের মেয়ে
সরবরাহ করে তাদের মাধ্যমে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত করে।
নগরীর জামালখান শরীফ কলোনি এলাকায় জনৈক প্রকৌশলী কনক চৌধুরীর বাসায় চুরির ঘটনায় পুলিশ গত দুইদিন ধরে
অভিযান চালিয়ে ছয় জনকে গ্রেপ্তার
করেছে।নগরীর জামালখান শরীফ কলোনি এলাকায় জনৈক প্রকৌশলী কনক চৌধুরীর বাসায় চুরির ঘটনায় পুলিশ গত দুইদিন ধরে
গ্রেপ্তার হওয়া ছয়জন হল, দলনেতা মো. সোহেল (২২), সঞ্জয় কুমার সেন (২৬) ও তার স্ত্রী মায়া রাণী সেন (২০), ইলিয়াছ খান (৩০) ও তার স্ত্রী সাহিদা আক্তার আঁখি (২৫) এবং ফারুক হোসেন প্রকাশ রবিন (২৫)।
কোতয়ালী থানার ওসি (তদন্ত) সদীপ কুমার দাশ বাংলানিউজকে বলেন, ‘আসামিরা সবাই একই চোরচক্রের সদস্য। তারা মায়া ও আঁখিকে বিভিন্ন বাসায় কাজের বুয়া হিসেবে পাঠায়। এরপর তাদের মাধ্যমে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি করে। চুরি শেষে ওই বাসার কাজ ছেড়ে দিয়ে আরেক বাসায় কাজ নেয়।’
কোতয়ালী থানার এসআই নেজাম উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, গত ১৫ মার্চ জামালখান শরিফ কলোনিতে প্রকৌশলী কনক চৌধুরীর বাসা থেকে তাদের কাজের বুয়া মায়া রাণী সেন ৩০ থেকে ৩৫ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি করে। কয়েকদিন পর ওই বাসা থেকে ছলছুতো করে মায়া কাজ ছেড়ে চলে যায়।
এতে মায়ার প্রতি কনক চৌধুরীর পরিবারের সন্দেহ হয়। এ ঘটনায় গত ১ এপ্রিল কনক চৌধুরী বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় মায়া ও তার স্বামী সঞ্জয় সেন, রাজিব দে ও সুমন সেন নামে চারজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত শেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১২ এপ্রিল নগরীর নিউমার্কেট এলাকা থেকে চোরচক্রের সদস্য রবিনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তার দেওয়া তথ্যমতে একে একে হাটহাজারী উপজেলার গোলাপের দোকান এলাকা থেকে সঞ্জয় সেন, সীতাকুন্ডের বড় দারোগাহাট থেকে মায়া রাণী সেন, ইলিয়াছ ও আঁখিকে নগরীর কালামিয়া বাজার এবং দলনেতা সোহেলকে নগরীর মুরাদপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর সঞ্জয় সেন ও মায়া সেন জামালখানে কনক চৌধুরীর বাসায় চুরির কথা স্বীকার করেছে। পরে তাদের কাছ থেকে দুই ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ এক লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া চুরির টাকা দিয়ে কেনা একটি মোটর সাইকেলও সঞ্জয়ের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment