অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ইউসুফ
আলী মৃধা ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট এনামুল হককে জনস্বার্থে বরখাস্ত
করা হয়েছে। এছাড়া তাঁদের দুইজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আজ রোববার বেলা আড়াইটার দিকে রেলভবনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
রেলমন্ত্রী সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘রেলওয়ের চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার নানা অভিযোগ নিয়ে
জরুরিভাবে তদন্ত
করা হবে। এপিএস ওমর ফারুক তালুকদারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। পাশাপাশি
এপিএসের নিকট থেকে প্রাপ্ত সমস্ত নথিপত্র ও বক্তব্য তদন্তের জন্য দুদককে দেওয়া
হচ্ছে। ইতিমধ্যে ওমর ফারুকের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করার জন্য জনস্বার্থে বাংলাদেশ
ব্যাংকের গভর্নরকে অনুরোধ করা হয়েছে। তদন্তের প্রয়োজনে রেলওয়ের পক্ষ থেকে দুদককে
সব ধরনের সহযোগিতার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ আজ রোববার বেলা আড়াইটার দিকে রেলভবনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
রেলমন্ত্রী সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘রেলওয়ের চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার নানা অভিযোগ নিয়ে
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় জিএম ইউসুফ আলী মৃধা, কমান্ড্যান্ট এনামুল হক ও এপিএস ওমর ফারুক তালুকদারের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, পত্রপত্রিকায় আসা প্রতিবেদনের প্রাথমিক সত্যতা আমরা পেয়েছি। সে জন্য ব্যবস্থা নিয়েছি।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপির পক্ষ থেকে রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করা প্রসঙ্গে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘আগেও বলেছি, এখনও বলছি, পদ গ্রহণ করা রাজনীতিবিদদের জন্য বড় কথা নয়। বর্জন করাও সহজ। বিরোধী দলের কথায় পদ পাইনি, তাদের কথায় তো আমি পদত্যাগ করতে পারি না। সিদ্ধান্ত যারা নিতে পারে সেখান থেকেই আসবে।’
সাংবাদিকরা রেলমন্ত্রীকে আরও প্রশ্ন করতে চাইলে সুযোগ না দিয়েই তিনি চলে যান।
উল্লেখ্য, গত সোমবার গভীর রাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তর পিলখানার মূল ফটকে বিপুল অঙ্কের টাকাসহ রেলমন্ত্রীর এপিএস ওমর ফারুক, রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) ইউসুফ আলী মৃধা ও রেলের নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট (ঢাকা) এনামুল হক আটক হন। তাঁরা দাবি করেন, তাঁরা রেলমন্ত্রীর বাসায় যাচ্ছিলেন। পথে তাঁদের অপহরণ করার লক্ষ্যে গাড়ির চালক আলী আজম গাড়িটি বিজিবির ফটকের ভেতর ঢুকিয়ে দেয়। এরপর বিজিবির সদস্যরা টাকাসহ সবাইকে আটক করেন। পরদিন সকালে গাড়িচালক আলী আজমকে রেখে পিলখানা থেকে বাকিদের ছেড়ে দেয় বিজিবি।
এ খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ ও সাধারণ মানুষ রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে আসছে। তবে প্রথম থেকেই মন্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
No comments:
Post a Comment