ডিসিসি নির্বাচনের স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে রিট

ঢাকা সিটি করপোরেশন দক্ষিণ ও উত্তরের নির্বাচনী কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। আজ বেলা ১২ টায় অ্যাড. মনজিল মোরশেদ রিটটি করেন। দুপুরের অধিবেশন শেষে রিটের শুনানি

হতে পারে। 
মঙ্গলবার হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান সিদ্দিকীর পক্ষে নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধে নির্বাচন কমিশনকে ৪৮ ঘন্টা সময় দিয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান এ আইনজীবী। 

রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব ও ঢাকা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে গত ১২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার এই আইনজীবী লিগ্যাল নোটিশ  পাঠিয়েছিলেন। এতে উল্লেখ ছিল, নোটিশ পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বৃহস্পতিবার এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন।

হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান সিদ্দিকীর পক্ষে এ লিগ্যাল নোটিশটি পাঠানো হয়েছিলো।

লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ এর ২৭(১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা কাউন্সিলর নির্বাচনের উদ্দেশ্যে করপোরেশনকে নির্ধারিতসংখ্যক ওয়ার্ডে বিভক্ত করিবার সুপারিশ করিবেন।’ ২৭(২) ধারায় বলা হয়েছে, ‘সরকার সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, জনসংখ্যার সর্বশেষ পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে, প্রতিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডের সংখ্যা নির্ধারণ করিবে।’ কিন্তু সরকার এ আইন কার্যকর করেনি। 

নোটিশে আরো বলা হয়, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ এর ২৮ ধারায় বলা হয়েছে, ‘সরকার সীমানা নির্ধারণের উদ্দেশ্যে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিগণের মধ্য হইতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা এবং তাহাকে সহায়তা করিবার উদ্দেশ্যে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক সহকারী সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা নিয়োগ করিবে।’

অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন,  “আইন অনুযায়ী নতুন সিটি করপোরেশনের কয়টি ওয়ার্ড হবে তা নির্ধারণ করতে হবে এবং এসব ওয়ার্ডের সীমানাও নির্ধারণ করতে হবে। এ সীমানা নির্ধারণের জন্য কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে গেজেট প্রকাশ করতে হবে। আইনের এসব ধারা কার্যকর না করে নির্বাচন করা যাবে না। আর এগুলো সিটি করপোরেশন পালন করেনি। তাই আইন অনুযায়ী নির্বাচন করার সুযোগ নেই। এ কারণে রিট মামলা করা হয়েছে।”