ডেসটিনির
চেয়ারম্যানসহ চারজনের বিরুদ্ধে ভুয়া বাদি সাজিয়ে প্রতারণা মামলা প্রত্যাহার
চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ভুয়া বাদির বিরুদ্ধে প্রমাণের জন্য কাগজপত্র দাখিল করেছেন
মূল বাদির আইনজীবী। মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম হাসিবুল হক শুনানি গ্রহণ করে
আগামী
১৯ এপ্রিল আদেশের জন্য তারিখ ধার্য্য করেন।বাদিপক্ষের আইনজীবী আমিরুল ইসলাম আদালতে ভুয়া বাদি শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে উত্তরাধিকারী সনদ, ভোটার আইডি কার্ডের সনদ, ভোটার লিস্টের ফটোকপি, ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিকত্ব সনদ, এক সময় যে তিনি কাজী ছিলেন তার প্রমাণপত্র, আলীম ও ফাজিল পরীক্ষার সার্টিফিকেটের ফটোকপি আদালতে দাখিল করে বলেন, ‘‘এসব কাগজপত্র প্রমাণ করে তিনি সৈয়দ শরিফুল ইসলাম চিশতি নন, তিনি শরিফুল ইসলাম। তিনি ভুয়া বাদি সেজে আসামিদের পক্ষ হয়ে আসামিদের বাঁচানোর চেষ্টায় লিপ্ত। তাই তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা প্রয়োজন।’’
এদিকে মূল বাদিকে আটক বা অপহরণ করে কোথায় লুকিয়ে রেখেছে তা খুঁজে বের করার জন্য পুলিশকে আদেশ দানের আবেদন জানানো হয়।
উল্লেখ্য ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভের চেয়ারম্যান ও কুতুববাগ দরবার শরিফের পীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি প্রতারণা মামলা প্রত্যাহারের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া যায়। গত পরশু বাদি পক্ষের দুই আইনজীবী ঢাকার মহানগর হাকিম মো. হাসিবুল হকের আদালতে বাদির অবস্থান ও দাবি সম্পর্কে পরস্পরবিরোধী আবেদন করলে ভুয়া বাদি সাজানোর বিষয়টি জানাজানি হয়। বিচারক দুই আইনজীবীর আবেদন শুনে বাদি হিসেবে পরিচয় প্রদানকারী দুই ব্যক্তির ভোটার পরিচয়পত্র যাচাই করে শেরে বাংলা নগর থানা পুলিশকে ১৫ মে এ বিষয়ে প্রতিবেদনে দেয়ার নির্দেশ দেন। এ ছাড়া মামলার পরর্বতী তারিখে বাদি সৈয়দ শরীফুল হক চিশতীকে (বাবা-মৃত সেয়দ নাসিরুল হক চিশতী, ৮৬ কাকরাইল, রমনা) আদালতে হাজির করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে রমনা থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment