মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের মামলায়
আটক বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর করা নয়টি রিভিউ
আবেদনের পাঁচটি আবেদন খারিজ করেছে ট্রাইব্যুনাল।
তবে মামলা
থেকে তার অব্যাহতির রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদনসহ তিনটি আবেদন শুনানির জন্য আগামী
১৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেছে ট্রাইব্যুনাল। তার
আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম
সাংবাদিকদের একথা জানান।
বৃহস্পতিবার
ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের
ট্রাইব্যুনাল পাঁচ আবেদন খারিজ করে।
সালাউদ্দিন
কাদের চৌধুরীর করা আবেদনগুলো হলো-১. আন্তর্জাতিক আইনের বিধি সংশোধন, ২. সেভ হোমে জিজ্ঞাসাবাদের
নথিপত্র প্রদান, ৩. দালাল আইনে বিচার, ৪. জামিন, ৫.আন্তর্জাতিক মানে বিচার এবং ৬.
মামলা থেকে অব্যাহতি, ৭. তদন্ত প্রতিবেদন সরবরাহ, ৮. অস্পষ্ট কপি এবং ৯. আইন ও বিধি মেনে বিচার করা।
সেফ হোমে
নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য উপাত্ত সরবরাহ করার আবেদনের শুনানিতে ট্রাইব্যুনাল
চেয়ারম্যান নিজামুল হক বলেন, “সেফ হোমের তথ্য উপাত্ত কখনোই
এভিডেন্স হিসেবে প্রসিকিউশন ব্যবহার করতে পারবে না। এমনকি প্রসিকিউশন তা চাইলেও
আমরা দেবো না। কারণ আইনে বলা আছে, সেফ হোমে নিয়ে জিজ্ঞাসা করা তথ্য উপাত্ত সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হবে
না।”
সালাউদ্দিন
কাদের চৌধুরীর আইনজীবী ফখরুল আদালতকে বলেন,
“তাহলে এটার একটা
অর্ডার দেন।”
জবাবে
চেয়ারম্যান বলেন, “অন্ডার আমরা পরে দেবো।”
কিন্তু
ফখরুল ইসলাম আবার আবেদন করলে, ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি একেএম জহির আহেমদ বলেন, “ফখরুল সাহেব, আমরা ওপেন কোর্টে বসেছি।
আমার বলার চেয়ে অর্ডারটা কি আপনার কাছে বড় হয়ে গেল?”এ কথা বলার পরে চেয়ারম্যান আবেদন
খারিজ করে দেন।
এ সময়
আসামির কাঠগড়ায় চেয়ারে বসা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ওঠে দাঁড়িয়ে চেয়ারম্যানকে
উদ্দেশ্য করে বলেন, “প্রসিকিউশন না হয় ব্যবহার করবে না।
আমাদের তো ব্যবহার করতে বাধা নেই। আইন তো আমাদের নিষেধ করেনি।”
জেল
পরিবর্তনের আবেদনের শুনানি শুরু করলে ট্রাইব্যুনাল বলেন, এটা আমাদের এখতিয়ারে নয়। এটা
আমরা শুনবো না।
রাষ্ট্রপক্ষে
শুনানিতে অংশ নেন প্রসিকিউটর জিয়াদ আল মালুম। সালাউদ্দন কাদের চৌধুরীকে সকালে
কাশিমপুর কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
No comments:
Post a Comment