হাইকোর্টের
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজার ১৩২ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে
এক হাজার পাঁচজনকে রোববার চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়
নিয়োগ পাওয়া ১২৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করার আগে আইন
মন্ত্রণালয়ের মতামত
নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনবল নিয়োগ নিয়ে গত প্রায় আট বছর ধরে আইনি জটিলতা চলে আসছে। একের পর এক মামলার ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি উচ্চ আদালত এক হাজার ১৩২ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতির নির্দেশ দেন। গত বৃহস্পতিবার ওই নির্দেশের অনুলিপি হাতে পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করে।
দুটি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২০০৪ সালে এই ১ হাজার ১৩২ জন নিয়োগ পেয়েছিলেন। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে ‘ঘুপচি বিজ্ঞাপনে’র মাধ্যমে নিয়োগ পান ২৩০ জন, এদের মধ্যে ১৯৮ জন এখনও কর্মরত। এর আগে একই বছরের জানুয়ারি মাসে তিনটি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে ৮০৭ জনকে অস্থায়ীভাবে এবং ১২৭ জনকে স্থায়ী নিয়োগ দেয়া হয়। স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া ১২৭ জন মূলত তার আগে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তিন জন উপাচার্যের মেয়াদকালে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ পেয়েছিলেন।
২০০৪ এ প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের বিপরীতে এদের কাউকে পদোন্নতি দিয়ে চাকরি স্থায়ী করা হয়। বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে আততায়ীর গুলিতে নিহত উপাচার্য আফতাব আহমাদের সময়কালে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সিন্ডিকেটের সভায় গত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নিয়োগ পাওয়া ১২৭ জনের নিয়োগ প্রশ্নে বিশেষভাবে আলোচনা হয়। সিন্ডিকেট সদস্যদের কয়েকজন আদালতের নির্দেশের কথা উল্লেখ করে বলেন, ২০০৪ সালের জানুয়ারি এবং সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত বিজ্ঞাপন অনুযায়ী কারও চাকরি থাকার সুযোগ নেই। কিন্তু গত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ায় কোনো কোনো সদস্য তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের জন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
No comments:
Post a Comment