একজন বিচারপতি তার
আসনে বসে আসামিকে বেঁধে রাখার কথা বলে শপথ ভেঙেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আসামিপক্ষের
আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। বিচারকের এ ধরনের মন্তব্য আদালত অবমাননার শামিল
বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বুধবার
ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারক নিজামুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের
ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর বিরুদ্ধে তার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হেলালউদ্দিন তার
জবানবন্দি শুরু করেন। ট্রাইব্যুনালের বিরতির সময় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তাজুল
ইসলাম বলেন, “আমরা শুনেছি ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বলেছেন আসামিকে এজলাসকক্ষে
বেঁধে রাখবেন।
এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে তিনি আবেগ দ্বারা পরিচালিত।”
তিনি
বলেন, “আবেগ দ্বারা বিচার করা যায় না। এতে ন্যায়বিচার থেকে আসামিপক্ষ
বঞ্চিত হবে।”
তাজুল
বলেন, “এর দ্বারা বিচারপতি আইন ভঙ্গ করে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন।”
আসামিপক্ষের
এ আইনজীবী বলেন, “আজও প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে নতুন কিছু ডকুমেন্ট উপস্থাপন করা হয়েছে, যার কপি
আমাদের আগে দেয়া হয়নি। সাক্ষ্য গ্রহণের শুনানির সময় তা ফটোকপি করে দেয়া হয়। অথচ
ট্রাইব্যুনালের বিধি ১৬ (২) ধারা মোতাবেক এসব ডকুমেন্টের কপি আসামিপক্ষকে দেয়ার
বিধান রয়েছে।”
তিনি
বলেন, “একজন আসামির চার্জ গঠনের আগেই তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ডকুমেন্ট
আসামিপক্ষকে দেয়ার কথা বলা আছে। কিন্তু তারা এসব ডকুমেন্টের কপি না দিয়ে
ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছেন।”
তাজুল
ইসলাম বলেন, “তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থাপিত প্রদশর্নীর মধ্যে ৯৪টি আইটেমের কপি
আমাদের দেয়া হয়নি।”
এর
আগে সকাল থেকে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে আলামত হিসেবে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে
দৈনিক জনকণ্ঠে ২০০১ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ‘সেই রাজাকারনামা’ প্রকাশিত
সিরিজের ২৯টি প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেছেন।
তদন্ত
কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন তার জবানবন্দিতে বলেন, “২০০৮ সালে পিরোজপুর-১
আসনে সংসদ নির্বাচনে সাঈদীর দাখিল করা মনোনয়নপত্র এবং সংযুক্ত কপি সংগ্রহ করি।
তাতে সাঈদী ১৯৫৭ সালে দেয়া দাখিল এবং ১৯৬০ সালে দেয়া আলিম পরীক্ষার সার্টিফিকেট
দেখতে পাই। আলিম পরীক্ষার সদনপত্রে লেখা আবু নাঈম মোহাম্মদ নামটি কেটে দিয়ে
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী নামটি লেখা রয়েছে। সেখানে তার জন্ম তারিখ দেয়া ১ ফেব্রুয়ারি
১৯৪০ সাল।”
No comments:
Post a Comment