Saturday, April 21, 2012

ইলিয়াস ইস্যুটা সুরঞ্জিত ইস্যুকে চাপা দেয়ার জন্য: ব্যারিস্টার রফিক


40336_rafikul-haque.jpg (320×452)ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে প্রবীণ আইনজীবি ব্যারিস্টার রফিক উল হক বলেছেন, “যতক্ষণ না সরকার শিওর (নিশ্চিত) হচ্ছে নিজেদের প্রার্থী সম্পর্কে যে, কাকে মনোনয়ন দিলে জয়ী হবে, তার আগে ইলেকশান হবে না।

শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এতে আয়োজক
নিজে সভাপতিত্ব করেন।

ব্যারিস্টার রফিক উল হক বলেন, “হাইকোর্ট যেভাবে মুভ করছে তাতে মনে হয় না ডিসিসি ইলেকশন হবে। এই প্রথম হাইকোর্ট স্টে করেছে।

তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষ বিএনপিও চায় না আওয়ামী লীগও চায় না। তারা চায় সাধারণ মানুষ। সে হিসেবে মান্নার গায়ে কোনো গন্ধ নাই। সে অবশ্যই নির্বাচিত হবে। ডিসিসি উত্তরের মানুষ তাকে জয়ী করবে। তার মতো লোক মেয়র হলে আমাদের জন্য সেটি হবে গর্বের বিষয়।

বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর গুম হওয়ার বিষয়ে ব্যারিস্টার রফিক উল হক বলেন, “রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন খুব গরম। ইলিয়াস ইস্যুটা হলো সুরঞ্জিতের ইস্যুকে চাপা দেয়ার জন্য। সুরঞ্জিত ৭০ লাখ টাকা দিয়ে পঁচা শামুকে পা কেটেছেন।
 
৭০ লাখ টাকা কিছুই নাউল্লেখ করে তিনি বলেন, “সরকার নতুন কতোগুলো ব্যাংক দিয়েছে। ৪০০ কোটি টাকা ব্যাংকের জন্য লাগে। যারা অনুমোদন নিয়েছে তারা এ টাকা পেলো কোথায়? কোন বাংলাদেশী আছে যার হোয়াইট মানি আছে ২০ কোটি? কিভাবে তারা ৪০০ কোটি টাকা জমা দিবে?”

 
ব্লাক মানি, হোয়াইট মানি যাই হোক সেটি দেশের কাজে লাগাক” –প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন ব্যারিস্টার রফিক।  


তিনি বলেন, “ইলিয়াস গুম হওয়ার পর সরকার রাত ১২টার সময় তার বিরুদ্ধে ১০ বছর আগের দুইটা মামলা পুনর্জীবিত করেছে। সুরঞ্জিতের সেই কেসকে চাপা দিতে ইলিয়াসের ইস্যুটা শুরু হয়েছে।”  

তিনি মনে করেন এভাবে একে অপরকে গুম করবে, এটি গণতন্ত্র নয়। মুখে গণতন্ত্র বললে লাভ হবে না। সবাইকে কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “রাজনৈতিক ব্যক্তিরা যখন বক্তৃতা করবেন তখন তাদের মনে করা উচিত তার সামনে একটা আয়না আছে। যেভাবে সেভাবে বক্তব্য দেয়া উচিত নয়।

তিনি বলেন, “ইলিয়াসের স্বজনরা কাঁদছে। আর রাজনীতিবিদরা একে অপরের দিকে দোষ চাপাচ্ছে। ঢাকার মানুষের নিত্যদিনের বিভিন্ন সমস্য নিয়ে কেউ কথা বলছে না। সেগুলো বলার সময় তাদের নাই।”  
 
আমরা চাই দেশের সংকট মোকাবেলায় দুই নেত্রী এক হয়ে কাজ করুক। যদি নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধা দিতে না পারেন তাহলে আপনাদের দেশ চালানোর কোনো অধিকার নেই” – উল্লেখ করেন মাহমুদুর রহমান মান্না।  


ব্যারিস্টার রফিকের কথার সুত্র ধরে তিনি বলেন, “ডিসিসি নির্বাচন বন্ধে ক্ষমতাসীনদের (আওয়ামী লীগের) হাত আছে। আমি জানি সরকারের হাত অনেক লম্বা। তা জনগণের হাত থেকে কতটুকু লম্বা সেটি আমরা দেখতে চাই।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “আমরা তিন মাস ধরে কাজ করছি ডিসিসি নির্বাচনকে ঘিরে। এটি বন্ধ হবে না। সময় বাড়ানোর কারণে আমরা আরো ভালোভাবে কাজ করতে পারবো।

সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “হেরে যাওয়ার লজ্জা ও ভয়ে সরকার নির্বাচন দিতে চাইবে না। কিন্তু এটি বুঝা উচিত যে, যতো বেশি নরম মাটির ওপর দাঁড়ানো হয় ততো পা নিচে নেমে যায়।”  

No comments:

Post a Comment