Monday, April 16, 2012

আদেশের কপি পেলে আপিলের সিদ্ধান্ত

ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিসিসি) নির্বাচনী কার্যক্রম তিন মাস স্থগিতের বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশের কপি হাতে পাওয়ার পর আপিলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।
আজ সোমবার সকালে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ে হাইকোর্টের দেওয়া এ আদেশের কথা সাংবাদিকদের জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার
(সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
সিইসি বলেন, হাইকোর্টের আদেশ হাতে পাওয়ার পর বোঝা যাবে, কোন আইনে নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। তখন বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের আইন বিভাগের সঙ্গে কথা বলা হবে। এর পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কি না।
নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিতের ঘোষণা ছাড়াও স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা অনুসরণ করে কেন নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুই সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের পরবর্তী কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা চেয়ে গতকাল রোববার হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। আবেদনে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯-এর কয়েকটি ধারা বাস্তবায়ন করে ওই নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয়। রিট আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সিটি করপোরেশন আইনের ৩ (ক) ধারা অনুসারে করপোরেশনের আওতাধীন এলাকাগুলোর বিবরণ থাকবে। এটি সংশোধন করে গত বছরের ১ ডিসেম্বর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন করা হয়। তবে ২০০৯ সালের আইনের অন্য সব বিধান বহাল রয়েছে। আইনের ৫, ২৭, ২৮, ২৯ ও ৩০ ধারা অনুসারে নতুন সিটি করপোরেশন হলে সীমানা-নির্ধারণ, কাউন্সিলর-সংখ্যা, ওয়ার্ড বিভক্তিকরণ ও সীমানা নির্ধারণকারী কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়ে বলা আছে। কাউন্সিলরের সংখ্যা ও সীমানা-নির্ধারণসহ এসব বিধিবিধান অনুসরণ করা হয়নি। এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশের বিধান থাকলেও তা করা হয়নি। আইনের ওই বিধানগুলো কার্যকর না করে নির্বাচন হতে পারে না। এটা আইনের শাসনের ব্যত্যয় ও লঙ্ঘন।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও সীমানা-নির্ধারণের দায়িত্ব কার, আপনারা আইন পড়ে তা বুঝে নিন।’

No comments:

Post a Comment