প্রতিদিন ২৪ ডেস্ক
ইসরাইলি অর্থায়নে পরিচালিত বেসরকারি
গোয়েন্দা ফোরাম- দি ইন্টেলিজেন্স সামিটের প্রতিনিধি ক্রিস ব্লাকবার্ন সরকারি
আমন্ত্রনে এক সপ্তাহের সফরে ঢাকা এসে পৌঁছেছেন। রোববার বিকেলে বাংলাদেশ
বিমানের একটি ফ্লাইটে (বিজি ১৮) ক্রিসের সঙ্গে এসেছেন দুই বৃটিশ সাংবাদিকও।
আল কায়দার সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের
সবচেয়ে প্রধান ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ এবং এ ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট
কারণ আছে ভারতের কাছে- এমন প্রচারণা চালিয়ে আসা ক্রিসের ব্লাকবার্নের সফরসঙ্গী দুই
বৃটিশ সাংবাদিক হচ্ছেন প্রভাবশালী বৃটিশ দৈনিক দি গার্ডিয়ানের পরিবেশ বিষয়ক
সম্পাদক জন ভিডাল এবং দি টেলিগ্রাফের লন্ডন নগর সম্পাদক অ্যান্ড্রু গিলিগান।
অ্যান্ড্রু গিলিগান বৃটেনে অশ্বেতাঙ্গ
অভিবাসী ও সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমনাত্বক বর্ণবাদী লেখালিখির জন্য কুখ্যাত। টেলিগ্রাফে
ব্যক্তিগত ব্লগে তার অনেক লেখালিখিতে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়ার অভিযোগ করে
আসছে এশিয়ান বংশোদ্ভূত বিভিন্ন মুসলিম অভিবাসী গোষ্ঠীগুলো।
২০০৫ সালে ইন্টেলিজেন্স ফোরামটির
সম্মেলন কেন্দ্র করে আমেরিকার কট্টরপন্থী অনলাইন ম্যাগাজিন ফ্রন্টপেজ ম্যাগ-এ ‘বাংলাদেশ: দি নিউ আল কায়দা
হেভেন’ (বাংলাদেশ:
আল কায়দার নতুন স্বর্গরাজ্য) শীর্ষক মন্তব্য লিখে তিনি প্রথম ব্যাপক আলোচনায় আসেন। তখন
বিরোধী দলে থাকা আওয়ামী লীগ এ মন্তব্যটিকে সরকার বিরোধী বক্তৃতা-বিবৃতির উপাদান
হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল।
বিপজ্জনক সফরকারী
বর্তমানে ক্রিস ব্লাকবার্ন ‘দি ইন্টেলিজেন্স সামিট’ বা ‘গোয়েন্দা সম্মেলন’ নামে স্বল্পপরিচিত একটি
সন্দেহভাজন বার্ষিক ফোরামের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। পাশাপাশি এ ফোরামটির
বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে এখানে সেখানে কিছু লেখালিখিও করেন তিনি। সন্ত্রাসবাদ
বিরোধী কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট আমেরিকান কর্মকর্তা ও অভিজ্ঞদের কাছে এ ফোরামটি ‘সুযোগসন্ধানী ও
সন্দেহভাজনদের আখড়া’ হিসেবে
পরিচিত।
‘সন্ত্রাসবাদবিরোধী’ বলে দাবিদার এ বার্ষিক সম্মেলনটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান অর্থায়নকারী হচ্ছেন ইসরাইলি শিল্পপতি মিখাইল চেরনয়। আর আমেরিকায় থেকে সম্মেলনটির তদারক করেন জন লফটাস। নিজে ইহুদি না হলেও বর্ণবাদী রাষ্ট্র ইসরাইলের পক্ষে লবিং করার জন্য পরিচিত লফটাস।
সম্মেলনের প্রধান অর্থায়নকারী চেরনয়ের সঙ্গে রাশিয়ার মাফিয়া সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীদের যোগসূত্র, অবৈধ ব্যবসা ও মুদ্রা পাচারের অভিযোগে ১৯৯৯ সাল থেকেই চেরনয়কে ভিসা দেয় না আমেরিকার সরকার।
২০০৬ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশের প্রশাসন নিজেদের কর্মকর্তাদের এ সম্মেলনে যোগ দেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। তখন প্রশাসনে কর্মরত না থাকলেও সরকারি অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে সে বছরের ফেব্রুয়ারিতে সম্মেলনের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র সাবেক দুই প্রধান রবার্ট জেমস উলসে ও জন মার্ক ডিউচ।
কিন্তু এখনো উপদ্ষ্টো হিসেবে রয়ে গেছেন ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাবেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র’এর একজন সাবেক প্রধান। উপদেষ্টা পরিষদে আরো আছেন ইন্দোনেশিয়ার সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জামা ইসলামিয়ার সাবেক নেতা তওফিক হামিদ।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ক্রিস ব্লাকবার্নকে ‘ফ্রেন্ড অফ বাংলাদেশ’ শীর্ষক সম্মাননা পদক দেয়।
বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে এমন এক সময়ে ক্রিস ব্লাকবার্ন সফরে আসছেন, যখন গত বৃহস্পতিবার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বিশেষ উপদেষ্টা সতিন্দর কে লাম্বা অভিযোগ করেছেন যে, সন্ত্রাসাবাদী এবং ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এখনো বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
‘সন্ত্রাসবাদবিরোধী’ বলে দাবিদার এ বার্ষিক সম্মেলনটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান অর্থায়নকারী হচ্ছেন ইসরাইলি শিল্পপতি মিখাইল চেরনয়। আর আমেরিকায় থেকে সম্মেলনটির তদারক করেন জন লফটাস। নিজে ইহুদি না হলেও বর্ণবাদী রাষ্ট্র ইসরাইলের পক্ষে লবিং করার জন্য পরিচিত লফটাস।
সম্মেলনের প্রধান অর্থায়নকারী চেরনয়ের সঙ্গে রাশিয়ার মাফিয়া সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীদের যোগসূত্র, অবৈধ ব্যবসা ও মুদ্রা পাচারের অভিযোগে ১৯৯৯ সাল থেকেই চেরনয়কে ভিসা দেয় না আমেরিকার সরকার।
২০০৬ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশের প্রশাসন নিজেদের কর্মকর্তাদের এ সম্মেলনে যোগ দেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। তখন প্রশাসনে কর্মরত না থাকলেও সরকারি অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে সে বছরের ফেব্রুয়ারিতে সম্মেলনের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র সাবেক দুই প্রধান রবার্ট জেমস উলসে ও জন মার্ক ডিউচ।
কিন্তু এখনো উপদ্ষ্টো হিসেবে রয়ে গেছেন ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাবেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র’এর একজন সাবেক প্রধান। উপদেষ্টা পরিষদে আরো আছেন ইন্দোনেশিয়ার সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জামা ইসলামিয়ার সাবেক নেতা তওফিক হামিদ।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ক্রিস ব্লাকবার্নকে ‘ফ্রেন্ড অফ বাংলাদেশ’ শীর্ষক সম্মাননা পদক দেয়।
বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে এমন এক সময়ে ক্রিস ব্লাকবার্ন সফরে আসছেন, যখন গত বৃহস্পতিবার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বিশেষ উপদেষ্টা সতিন্দর কে লাম্বা অভিযোগ করেছেন যে, সন্ত্রাসাবাদী এবং ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এখনো বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
সরকারের উচ্চপর্যায়ে
সাক্ষাতের সফরসূচি
সফরকালে কমপক্ষে তিনজন মন্ত্রী, একটি সংসদীয় উপকমিটি, কয়েকজন সচিব ও চট্টগ্রাম
বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাক্ষাতের কর্মসূচি রয়েছে ব্লাকবার্নদের। এছাড়া
কয়েকটি মিডিয়া হাউসও পরিদর্শন করবেন তারা।
রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
এক্সটারনাল পাবলিসিটি বিভাগের মহাপরিচালকের দেয়া অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবে
সফরকারী দলটি। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পররাষ্ট্রসচিব ও পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে
পৃথকভাবে সাক্ষাত করবেন তারা। পরদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক
সংসদীয় উপ-কমিটির সঙ্গে বৈঠক এবং মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শনের
কর্মসূচি রয়েছে। মঙ্গলবার তথ্যমন্ত্রী এবং মহিলা ও শিশু বিষয়কমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথকভাবে
বৈঠক করবেন তারা।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ
ও বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরে
কয়েকটি মিডিয়া হাউস পরিদর্শনের পর লন্ডন ফিরবেন ক্রিস ব্লাকবার্ন ও দুই সাংবাদিক।
No comments:
Post a Comment