ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন ৩ মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তর ও দক্ষিণের নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে দাখিল করা রিটের শুনানি শেষে সোমবার দুপুর পৌণে দুইটায় বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও
স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইনের কয়েকটি ধারা বাস্তবায়ন ছাড়া
নির্বাচন না করতে ১২ এপ্রিল হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে
সম্পাদক আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী নির্বাচন কমিশনের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠান। নোটিশ
পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচনের সব কার্যক্রম বন্ধ করে তা জানাতেও বলা হয়।
অন্যথায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলা হয়। এর ধারাবাহিকতায় রোববার আসাদুজ্জামান
সিদ্দিকীর পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ রিট আবেদনটি করেন। বিকেলে এ আবেদনের ওপর
শুনানি হয়। ৯ এপ্রিল ঘোষিত তফসিল অনুসারে আগামী ২৪ মে ডিসিসি নির্বাচন হওয়ার কথা।
রিটকারীপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রিট আবেদনে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯-এ ৩, ৫, ২৭,
২৮, ২৯ ও ৩০ ধারার বাস্তবায়ন না করা
নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এসব ধারা অনুসরণ করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশ কেন
দেওয়া হবে না-এ মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে রিটে। রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায়
নির্বাচনের পরবর্তী কার্যক্রম বন্ধ রাখার আরজিও জানানো হয়েছে। রিটে প্রধান
নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব,
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয়েছে। আইনের ৩
ধারায় সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা, ধারা ৫-এ সিটি করপোরেশন
গঠন, ২৭ ধারায় করপোরেশনকে ওয়ার্ডে বিভক্তকরণ. ২৮ ধারায়
সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা নিয়োগ, ২৯ ধারায় ওয়াডের্র
সীমানা নির্ধারণ ও ৩০ ধারায় সংরক্ষিত আসনের ওয়াডের্র সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে বলা
আছে।
No comments:
Post a Comment