প্রতিদিন ২৪ ডেস্ক
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের
চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, নাগরিকদের নিখোঁজ
হওয়ার ঘটনায় রাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
বিশেষ করে ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে ইউনিভার্সাল প্রি-অডিট রিভিউতে বাংলাদেশকে হাজির হতে হবে। এ সব ঘটনার রিপোর্ট দিতে হবে।
বিশেষ করে ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে ইউনিভার্সাল প্রি-অডিট রিভিউতে বাংলাদেশকে হাজির হতে হবে। এ সব ঘটনার রিপোর্ট দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার ১২টায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড অডিটোরিয়ামে `পূত্র সন্তানের অর্বতমানে উত্তরাধিকার সম্পদে কন্যা সন্তানের পূর্ণ অধিকার’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অ্যাসোসিয়েশন অব ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিস ইন বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ এ সেমিনারের আয়োজন করে।
বিরোধী দলীয় রাজনীতিবিদ এম ইলিয়াস আলীর নিখোঁজের ঘটনা অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে ড. মিজানুর রহমান বলেন, যে কোনো নাগরিকের নিরাপত্তা প্রদান করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। যেকোনো একজন মানুষের নিখোঁজ হওয়ার পেছনে তাত্ত্বিকভাবে ৩টি কারণ থাকতে পারে।
প্রথমত: অনেক সময় কিছু লোক স্বেচ্ছায় লোকচক্ষুর আড়ালে কিছুদিনের জন্য হারিয়ে যেতে পারে। এটি মানবাধিকার লংঘন নয়। ইলিয়াস আলীর ঘটনাটি এই কারণের মধ্যে পড়েনা।
অনিচ্ছাকৃত নিখোঁজের কারণ হতে পারে ২টি। এরমধ্যে সন্ত্রাসীদের দ্বারা নিখোঁজ হলে ফৌজদারি মামলায় অপরাধীর বিচার করতে হবে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রকেই দায়িত্ব নিতে হবে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক হবে রাষ্টীয় প্রতিষ্ঠান বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে নিখোঁজ হওয়া।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইলিয়াস আলীর বাসায় গিয়েছেন, এবং ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তাই এটি রাষ্ট্রীয় যন্ত্র দ্বারা নিখোঁজ হয়নি বলে ধারণা করা যায়।
তবে এরপরও মানবাধিকার কমিশন থেকে যতদ্রুত সম্ভব নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধার করা অথবা তার খোঁজ পরিবারকে জানানো এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে। এবং এটি রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
বর্তমানে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং প্রশাসনকে সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পুলিশ আসলেই ব্যর্থ উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি ঘটনার ২মাস পর যদি পুলিশ আদালতে গিয়ে স্বীকার করে নেয় তারা ব্যর্থ। তবে আসলেই তারা ব্যর্থ। রাষ্ট্র যদি চিন্তা করে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে পার পেয়ে যাবে , জবাবদিহিতা দরকার হবে না তবে সেটি তাদের ভূল।
রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও আন্তর্জাতিকভাবে অবশ্যই এর জবাবদিহি করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনিকে এসবের জবাব দিতে হবে। কারণ এর আগের কাউন্সিলে বলেছিলেন আমরা নতুন ক্ষমতায় এসেছি। এবার আর তা বলতে পারবেন না
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ।
No comments:
Post a Comment