আদালত অবমাননার অভিযোগে খাদ্য সচিব বরুণ দেব মিত্র ও খাদ্য
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আহমেদ হোসেন খানকে ২৬ এপ্রিল স্বশরীরে আদালতে হাজির হতে
নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালত অবমাননার অভিযোগে করা এক আবেদনের শুনানিকালে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, বিভিন্ন সময়ে করা দুর্নীতির অভিযোগে নীলফামারীর সাবেক জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (বর্তমানে নেত্রকোনা জেলায় কর্মরত) মো. নুর
ইসলামকে ২০০৪ সালের ১০
নভেম্বর সরকার ২৩ লাখ ৮৬ হাজার ৭৯৬ টাকা ২৯ পয়সা জরিমানা এবং তাঁর দুই বছরের
বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট সুবিধাদি বন্ধ রাখার আদেশ দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে নুর ইসলাম
প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে আবেদন করলে ২০০৯ সালের ২৯ জুন ওই আদেশটি অবৈধ ঘোষণা করে
তাঁকে স্বপদে বহালসহ আইন অনুযায়ী সুবিধাদি দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এ আদেশের
বিরুদ্ধে সরকার প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালে আবেদন করে। গত বছরের ১০ অক্টোবর
প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল আগের আদেশটি বহাল রাখেন। এর বিরুদ্ধে গত ৯ জানুয়ারি
সরকার আপিল বিভাগে আবেদন করে। এটা এখনো বিচারাধীন।আদালত অবমাননার অভিযোগে করা এক আবেদনের শুনানিকালে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, বিভিন্ন সময়ে করা দুর্নীতির অভিযোগে নীলফামারীর সাবেক জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (বর্তমানে নেত্রকোনা জেলায় কর্মরত) মো. নুর
প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় আদালত অবমাননার অভিযোগে নুর ইসলাম হাইকোর্টে আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালত রুল জারি করেন। আজ রুল শুনানির জন্য ছিল। আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
খুরশীদ আলম খান প্রথম আলো অনলাইনকে বলেন, আপিল বিভাগে সরকারপক্ষের আবেদনটি বিচারাধীন। তবে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের রায়ে কোনো স্থগিতাদেশ নেই। এর পরও সরকার প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের আদেশ বাস্তবায়নে উদ্যোগ না নেওয়ায় হাইকোর্টে আদালত অবমাননার আবেদনটি করা হয়। হাইকোর্ট রুল জারি করলেও ওই দুজন রুলের জবাব দেননি। শুনানির একপর্যায়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে খাদ্য সচিব ও অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ২৬ এপ্রিল আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
No comments:
Post a Comment